চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলাধীন কোকদন্ডী গ্রামে শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্টিত ঋষিকুম্ভ মেলা নি:সন্দেহে বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
ভারতের হরিদ্বার,উজ্জয়িনী,প্রয়াগ,নাসিক এর মত প্রতি তিনবছর অন্তর ঋষিকুম্ভ মেলা একমাত্র বাঁশখালী ব্যতীত বাংলাদেশে আর অন্য কোন স্থানে অনুষ্টিত হয় না।তাই ঋষিকুম্ভ প্রতিষ্টা স্বামীজির এক অনন্য অবদান।
মহাভারতের অনুগীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সাধু সঙ্গের মাহাত্ম উদ্ধবকে বর্ণনা করেছিলেন। ঋষিকুম্ভ বা ঋষি সমাবেশ সেই সাধুসঙ্গের নামান্তর।
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন “জপ, তপ দান, তপস্যা যজ্ঞ ইত্যাদি শুদ্ধ ক্রিয়ার দ্ধারা আমাকে কেউ বশীভূত করতে পারে না।
এ সকল সাধন ভজন ভক্তিমিশ্রিত হলে আমি কিঞ্চিত বশীভূত হই বটে,তবে শুদ্ধভক্তির নিকট আমি নিজেকে একেবার হারাইয়া ফেলি। এ শ্রদ্ধাভক্তি লাভের একমাত্র সহজ উপায় হলো ভক্তসঙ্গ বা সাধুসঙ্গ। আমাদের মতো তাপিত ক্ষুদ্র জীবের কল্যাণার্থে যারা স্বামীজির মহতী উদ্যোগকে এখনও টিকিয়ে রেখেছেন তাদের সবারই চরনে জানাই অধমের ভুলুন্টিত প্রনাম।
আসন্ন একবিংশ তম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা আগামী ২৭শে জানুয়ারি থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারী মহাসমারোহে ঋষিধাম এ উৎযাপিত হইবে।
শিব কল্পতরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ এর কৃপাধন্য কৃতি সন্তান পরম পুজনীয় গুরুদেব শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ ঋষিধ্বজ্জা উড়েয়ে আহবান করবেন যোগীঋষিদের অন্যতম ঋষি কুম্ভ ও কুম্ভমেলার।