বাবলু তন্তবায় দীপু, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
৬৪টি জেলা জুড়ে শারদীয় দূর্গা উৎসব কে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরীর কাজ সহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রস্তুতি পূজা উদযাপনে আগামী পহেলা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে।
শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের গিলানী চা বাগান সহ কয়েকটি বাগানে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এ সময়ে দম নেয়ার ফুরসত নেই কারিগরদের।
বাগান পঞ্চায়েত এর প্রস্তুতিমূলক সভায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ যুগ্ম সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, এই বছরে চুনারুঘাট উপজেলার ২৪টি বাগানে পূজামণ্ডপ হয়েছে। এবার চুনারুঘাট উপজেলায় চা বাগান গুলোতে পূজামণ্ডপ হবে ৩০টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৫টি পূজামণ্ডপ বেশি। উপজেলার গিলানী চা বাগান সহ দেউন্দি, লস্করপুর, চান্দপুর্, চাকলাপুঞ্জি, সাতছড়ি। চন্ডিছড়া, আমু নালুয়া এবং রেমা সহ আরো অনেকটি বাগান পুজার আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া পূজা মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছে চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন। প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা জানিয়ে সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বিসর্জন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে চুনারুঘাট উপজেলায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলছেন প্রতিমা। গিলানী চা বাগানের প্রবীণ কারিগর অজয় কুমার পাল বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি। বৈশিক আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা তৈরির কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ৬ষ্ঠ পূজার আগেই প্রতিমা হস্তান্তর করা হবে।
চুনারুঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলি আশরাফ বলেন, ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপজেলায় ৩০০ পুলিশ বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।