মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে প্রতিমা ভাঙচুর ওসি নাসির উদ্দিন বলছেন তেমন বড় ঘটনা নয়! নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবীতে কিশোরগঞ্জে ঐক্য পরিষদের গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন রাঙামাটিতে ত্রিনয়ন সংঘের উদ্দ্যোগে সর্বজনীন গণেশ পূজা কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সৎ সংঘ যুব ক্লাব হিন্দু পারিবারিক আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শ্রাবন্তীর পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন জাগো হিন্দু পরিষদ কদমতলী ইউনিয়ন শাখা বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত রাউজানে হাজারো ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা কোলাবাজারে সনাতনী উন্নয়ন সংঘ এর উদ্যোগে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত ধামরাই বড় বাজার দুর্গা মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে কেককাটা অনুষ্ঠান ও ভাগবত পাঠ অনুষ্ঠিত

দীক্ষা কি? দীক্ষা গ্রহণ করার আবশ্যকতা কোথায়?

Spread the love


দীক্ষা সর্বকার্যে শুদ্ধিকারক। অদীক্ষিত কোন ব্যক্তি যদি আধ্যাত্মিকতার যেকোন কার্য করুক না কেন? তৎসমুদয়ের কোন মূল নেই। তাই প্রত্যেকে দীক্ষা গ্রহণ করা অবশ্যই উচিত। দীক্ষা ব্যতীত কোন ভক্তকে ভগবান নিজেও দর্শন দেন না তা শাস্ত্রে বিধিত আছে।

দীক্ষা কি?
দীয়ন্তে জ্ঞানমত্যন্তং ক্ষীয়তে পাপসঞ্চয়ঃ।
তস্মাদ্‌ দীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্বদর্শিভিঃ।।
দিব্যজ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কৃত্যা পাপস্য সংক্ষয়ম্‌।
তস্মাদীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্ববেদিভিঃ।।
(রুদ্রযামল ও যোগিনী তন্ত্রে)

অনুবাদঃ যে কার্য পাপক্ষয় করিয়া দিব্য জ্ঞান প্রকাশ করে, তাহাই দীক্ষা। প্রকৃতপক্ষে দীক্ষার অর্থ বর্ণ বা শব্দ বিশেষ, শ্রবণ করা নহে। বর্ণ বা বর্ণগুলি শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম বলিয়া পরিকীর্তিত আছে। সেই শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্মই বর্ণ। সেই বর্ণই ভগবানের নাম। নাম এবং নামী অভেদ, কিছুই প্রভেদ নাই। এইভাবে যেই নাম বা মন্ত্র গ্রহণ করা হয় তাহাই দীক্ষা। যিনি নামে এবং মন্ত্র এ মন্ত্রের অভীষ্ট দেবতাকে এক ভাবেন, তিনি প্রকৃত দীক্ষিত। দীক্ষামন্ত্র গ্রহণ করিলে শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম অভীষ্ট দেবতার না হয় এবং হৃদয়ে নিজ ইষ্ট দেবতার ভাব উদ্দীপন না হয়, তবে সেইরূপে মন্ত্র বা দীক্ষা গ্রহণ করিয়া দীক্ষা বা মন্ত্র গ্রহণ শব্দ প্রয়োগ না করাই শ্রেয়ঃ। দৃঢ় বিশ্বাস বা ভক্তিই মূল।

দীক্ষা গ্রহণ করার আবশ্যকতাঃ
অদীক্ষিতাং লোকানাং দোষং শৃনু বরাননে।
অন্নং বিষ্ঠা সমং তস্য জলং মূত্র সমং স্মৃতম্‌।
যৎ কৃতৎ তস্য শ্রাদ্ধং সর্বং যাতিহ্যধোগতিম্‌।।১
(তথাহি মৎস্যর্সূক্তে)

অর্থঃ অদীক্ষিত ব্যক্তি অন্ন বিষ্ঠার সমান, জল মূত্রতুল্য। তাহারা শ্রাদ্ধাদি কার্য যাহা কিছু করে, তাহা সমস্তই বৃথা।

ন দীক্ষিতস্য কার্যং স্যাৎ তপোভির্নিয়মব্রতৈ।
ন তীর্থ গমনে নাপি চ শরীর যন্ত্রণৈঃ।।২
অদীক্ষিতা যো কুর্বন্তি তপো জপ পূজাদিকাঃ।
ন ভবতি ক্রিয়া তেষাং শিলায়ামুপ্ত বীজবৎ।।৩

অর্থঃ দীক্ষা গ্রহণ না করিলে কোন কার্য করিবার অধিকার জন্মে না। সেই জন্য জপ, তপ, নিয়ম, ব্রত, তীর্থ, ভ্রমণ উপবাসাদি শারীরিক কষ্ট দ্বারা কোন ফল দর্শিবে না।

অদীক্ষিতোহপি মরণে রৌরবং নরকং ব্রজেৎ।
অদীক্ষিতস্য মরণে পিশাচত্বং ন মুঞ্চতি।।
অদীক্ষিত ব্যক্তিগণ মৃত যদি হয়।
রৌরব নরকে বাস জানিবে নিশ্চয়।।
স্কন্ধ পুরাণেতে তার আছয়ে বর্ণন।
মৃত্যু পরে হবে তার পিশাচে জনম।।
দীক্ষা মূলং জপং সর্বং দীক্ষা মূলং পরং তপঃ।
দীক্ষামাশ্রিত্য নিবসেৎ কৃত্রশ্রমে বসদ্‌।।
জপ, তপ, তন্ত্র, মন্ত্র, দীক্ষা মূল হয়।
.
দীক্ষা ভিন্ন সর্বকার্য হইবেক ক্ষয়।।



আমাদের ফেসবুক পেইজ