বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) কেন্দ্রীয় সংসদ প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কলেজ প্রভাষক পলাশ কান্তি নাথ রণী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ধর্মশিক্ষা মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধর্মনুরাগী মানুষ কখনও অপরাধ, অন্যায়, অনাচারের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। গীতা শিক্ষার্থীরা কখনও মাদকসক্ত হয় না। গীতাচর্চায় মানুষের মাঝে মনুষ্যত্বের উন্মেষ ঘটায়।
গত ২০ জানুয়ারি প্রথম দিবস পটিয়া উপজেলার পশ্চিম জিরি উৎসব প্রাঙ্গনে সনাতনী গীতা গুরু সংঘ ও গীতাবিদ্যাপীঠের ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধর্মসম্মেলনে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
উৎসব উদযাপন পরিষদ সভাপতি রিটন কুমার শীলের সভাপতিত্বে ও সংগঠক ধীমান নাথের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শংকর মঠ ও মিশনের সন্যাসী শ্রীমৎ পুলকানন্দ ব্রহ্মচারী ও প্রধান বক্তা ছিলেন আবৃত্তিকার ও লেখক স্বপন কুমার বিশ্বাস। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আমরা সবাই সনাতনী সংগঠন সভাপতি দুলাল শীল, সাধারণ সম্পাদক অধীর শীল, উপদেষ্টা তিলক শীল, সনাতন অনলাইন টিভি পরিচালক জুয়েল আইচ অর্ক, হিন্দু মহাজোট কর্মকর্তা রনজিত শর্মা, বাগীশিক বায়োজিদ থানা কর্মকর্তা সুকুমার দেবনাথ ও রাজনীতিক জয়নাল আবেদিন ফরহাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কান্তি দাশ। এতে স্থানীয় কণ্ঠশিল্পী ও নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়। সভাশেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয়দিন গীতাযজ্ঞের মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ চন্দনানন্দ ব্রহ্মচারী। গীতাযজ্ঞে পৌরহিত্য করেন শংকর মঠ ও মিশন অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজএবং সাধু -সন্ত ও সন্ন্যাসীদের দিয়ে গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় এবং ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।