সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উত্তর গুজরায় শ্রীশ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ ও জ্বালামুখী মন্দিরে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের রাউজানে গশ্চি দাশ পাড়া সার্বজনীন শ্রীশ্রী গীতা মন্দিরের বিশ্বশান্তি গীতা যজ্ঞের ৩০তম বর্ষপূতি উদযাপিত হয়েছে মৌলভীবাজার রাম নবমী তে এবার হতে যাচ্ছে রাবণ বধ ও জীবন্ত পিতা মাতার পুজা আহলা দূর্গাবাড়ি ও লোকনাথ আশ্রমে অষ্টপ্রহরব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন উৎসব শুরু বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৩৯৫ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ রাঙামাটির মন্ডপে মন্ডপে চলছে বিদ্যাদেবীর আরাধনা সিইপিজেড কৃষ্ণ মন্দিরের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব আগামীকাল রাউজানে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মতিথি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন মৌলভীবাজারে শত কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে ২ মন্দিরে প্রতিমা-পূজার সরঞ্জাম সহ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

বাংলাদেশের নেত্রকোনার সন্তান নলিনীরঞ্জন সরকারের পৈত্রিক সম্পত্তিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণার দাবি।।

Spread the love

সংগ্রাম দত্ত:

নলিনীরঞ্জন সরকার ছিলেন অর্থনীতিবিদ, শিল্পপতি ও একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

তিনি বাংলার অর্থনীতি ও রাজনীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন। ছিলেন ১৯৪৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী।

জন্ম ১৮৮২ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া গ্রামে।

১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় নলিনীরঞ্জন ভারতে চলে যান।

 

১৯০২ সালে তিনি ময়মনসিংহ সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স ও ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করেন।

পরবর্তীকালে ভর্তি হন কলকাতার সিটি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আর্থিক কারণে তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পরে তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নেমে পড়েছিলেন। নিজেকে তালিকাভুক্ত করেছিলেন কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে।

তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে এক জঞ্জালময় মেসে থাকতেন। প্রায়শই তাঁকে অনাহারে দিন কাটাতে হত।

সকালের চা ও নাস্তার জন্য তিনি তাঁর বন্ধুবান্ধব ও পৃষ্ঠপোষকদের বাড়িতে যেতেন। সাহস ও ধৈর্য তাঁকে ধরে রেখেছিল।

সহসাই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নজরে আসেন যিনি তাঁর জন্য হিন্দুস্তান সমবায় বীমা ক্ষেত্রে একটি ক্ষুদ্র চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন।

এটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রধান নির্বাহী ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯১১ সালে তিনি যোগ দেন হিন্দুস্তান কোঅপারেটিভ ইনস্যুরেন্স সোসাইটিতে।

১৯২৩-২৮ সাল পর্যন্ত স্বরাজ পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, কলকাতা করপোরেশনে ও সর্বভারতীয় বণিক সভায় দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৩৭ সালে শেরে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত বঙ্গীয় সরকারের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।

১৯৪৯ পর্যন্ত রাজনৈতিক জীবনে বহুবার বিভিন্ন বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

২৫ জানুয়ারি ১৯৫৩ সালে নলিনীরঞ্জন সরকার মৃত্যুবরণ করেন।

 

ভারত বিভক্তির পর নলিনীরঞ্জন সরকারের পুরো পরিবার জায়গা জমি রেখে ভারতে চলে যান। সেই থেকে তাদের ঘরবাড়ি, সম্পত্তি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।
সবুজে ঘেরা বাড়ির মূল ফটকে রয়েছে বিশাল পুকুর, বসত ঘর, মন্দির। তার পাশেই একটি পোস্ট অফিস। বাড়ির দেয়াল ও ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়েছে। লতাপাতার শেকড়-বাকড়ে ক্রমশ বন্দি হয়ে বিলীন হতে চলেছে বাড়িটির অস্তিত্ব।
স্থানীয়দের দাবি নলিনী রঞ্জন সরকারের ফেলে যাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তিটিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে সংরক্ষণ করা উচিত।



আমাদের ফেসবুক পেইজ