সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিএমপি’র  পুলিশ কমিশনার’র  সাথে  সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ’র প্রতিনিধি দল সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ! সাহিত্যের আলোকে ১৫তম বার্ষিক অনুষ্ঠান পুরান ঢাকায় হরিজনদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ রাজধানী মতিঝিলে ২০০ কোটি টাকা মূল্যের দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার এবং ঐ জায়গায় তৈরি করা হবে মন্দির ভিন্নধর্মে বিয়ে,বোন সোনাক্ষীকে পরিবার থেকে ছেঁটে ফেললেন ভাই লব! রথ শোভাযাত্রা’র উদ্বোধনী আলোচনা সভা-২০২৪ সনাতন ৯২ বন্ধু পরিবার “ঢাকা বিভাগীয় কমিটি ঘোষনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রা উদযাপিত কৃষ্ণকলি ইমু গ্রুপ কতৃক বাৎসরিক “গীতাপাঠ, ভজনগীত ও বেদ মন্ত্র পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৪” শুভ উদ্বোধন

মাত্র ৫০ টাকা না দিতে পারায়  কাজল রাণীর হাত থেকে বই কেড়ে নিলো প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক।

Spread the love

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

বনভোজনের জন্য নির্ধারিত ২৫০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা জমা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী কাজলীর পাঠ্যবই রেখে দেন। নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েএই অমানবিক ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কাজলী রানী রায় বনভোজনের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে না পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাঠ্য বই রেখে স্কুল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে কাজলীর বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় তার মেয়েকে বাধ্য হয়ে ভর্তি করালেন একই গ্রামের ব্রাক পরিচালিত একটি স্কুলে। জানা যায়, স্কুলের বনভোজনের জন্য সবার কাছেই ২৫০ টাকা করে বাধ্যতামূলক চাঁদা ধরা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ছাত্র/ছাত্রী ২০০ টাকা করে জমা দেয়। অতিরিক্ত ৫০ টাকার জন্য শিক্ষকবৃন্দ ছাত্র/ছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিশু কাজলীর পিতা অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ২০০ টাকা ফেরত চায়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ টাকা ফেরত দেয়।


এসময় প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, “যেহেতু মেয়েকে বনভোজনে যেতে দিবে না মেয়ের বাবা, কাজলীর বইগুলো এখানে রেখে দিয়ে যাও।” কাজলীর বাবা জানান, অতিরিক্ত ৫০ টাকার জন্য মেয়েটি বাসায় এসে কান্নাকাটি শুরু করে। আমি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে বলি এইমুহুর্তে অতিরিক্ত ৫০ টাকা আমি দিতে পারবো না । এসময় শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে। আমি টাকা ফেরত নিয়ে চলে আসি এবং বলি এই স্কুলে আমি আর মেয়েকে পড়াবো না । শিশু কাজলী কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং বলে টাকা দিতে না পারায় আমার বই গুলো তারা স্কুলে রেখে যেতে বলে। এবং আমাকে ধমক দেয় কোথায় পড়বি আমরা দেখে নিবো। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও আব্দুর রাজ্জাক একটা কোমলমতি শিশু এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে এই আচরণে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ ও বিচার দাবী করেন।



Chat conversation end



আমাদের ফেসবুক পেইজ