সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মীরসরাইয়ে পার্থসারথী বৈদিক বিদ্যাপীঠের উদ্বোধন, বিশ্বশান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা বাগীশিক বোয়ালখালী পৌরসভা সংসদ এর শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা বার্ষিক মূল্যায়ন চূড়ান্ত পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ নাচে গানে বরণ করে নিল বাংলা নববর্ষকে সমাজ গঠনে বইয়ের শক্তি উদযাপিত হলো আপন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীতাকুণ্ডে জ্যোগীশিস এর নতুন স্কুল উদ্বোধন রাম নবমীতে আর্য কল্যাণ ফাউন্ডেশন আত্মপ্রকাশ রাঙ্গামাটিতে চলছে শ্রী রাম নবমীর ৩ দিনব্যাপী উদযাপন বোয়ালখালীর কদুরখীল কমল মহাজন বাড়ির নতুন মন্দিরের ২ দিনব্যাপী অভিষেক আয়োজন, পুষ্পযজ্ঞ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাঙামাটির আসামবস্তি শীতলা মন্দিরে মায়ের পূজা ও উৎসব আগামীকাল ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে! স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় ধর্ষণের শিকার

মাত্র ৫০ টাকা না দিতে পারায়  কাজল রাণীর হাত থেকে বই কেড়ে নিলো প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক।

Spread the love

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

বনভোজনের জন্য নির্ধারিত ২৫০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা জমা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী কাজলীর পাঠ্যবই রেখে দেন। নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েএই অমানবিক ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কাজলী রানী রায় বনভোজনের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে না পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাঠ্য বই রেখে স্কুল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে কাজলীর বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় তার মেয়েকে বাধ্য হয়ে ভর্তি করালেন একই গ্রামের ব্রাক পরিচালিত একটি স্কুলে। জানা যায়, স্কুলের বনভোজনের জন্য সবার কাছেই ২৫০ টাকা করে বাধ্যতামূলক চাঁদা ধরা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ছাত্র/ছাত্রী ২০০ টাকা করে জমা দেয়। অতিরিক্ত ৫০ টাকার জন্য শিক্ষকবৃন্দ ছাত্র/ছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিশু কাজলীর পিতা অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ২০০ টাকা ফেরত চায়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ টাকা ফেরত দেয়।


এসময় প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, “যেহেতু মেয়েকে বনভোজনে যেতে দিবে না মেয়ের বাবা, কাজলীর বইগুলো এখানে রেখে দিয়ে যাও।” কাজলীর বাবা জানান, অতিরিক্ত ৫০ টাকার জন্য মেয়েটি বাসায় এসে কান্নাকাটি শুরু করে। আমি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে বলি এইমুহুর্তে অতিরিক্ত ৫০ টাকা আমি দিতে পারবো না । এসময় শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে। আমি টাকা ফেরত নিয়ে চলে আসি এবং বলি এই স্কুলে আমি আর মেয়েকে পড়াবো না । শিশু কাজলী কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং বলে টাকা দিতে না পারায় আমার বই গুলো তারা স্কুলে রেখে যেতে বলে। এবং আমাকে ধমক দেয় কোথায় পড়বি আমরা দেখে নিবো। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও আব্দুর রাজ্জাক একটা কোমলমতি শিশু এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে এই আচরণে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ ও বিচার দাবী করেন।



Chat conversation end



আমাদের ফেসবুক পেইজ