রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মতিথি উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাউজানে পশ্চিম সুলতানপুর রামকৃষ্ণ পল্লীতে বিবেকানন্দ সংসদের উদ্যোগে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা,মাতৃবরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ সম্মাননা প্রদান এবং অষ্টপ্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১শে জানুয়ারি মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের পূজার মধ্য দিয়ে নানান মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। বিকালে স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান “কুঞ্জবিহারী” পরিবেশন করেন টিভি ও বেতার শিল্পী তৃষিতা দাশ তৃষা ও তপন দাশ।
২২শে জানুয়ারি বুধবার, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন, শ্রীমৎ ভাগবত গীতাপাঠ, উদ্বোধনী সংগীত, ধর্মীয় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। উদ্বোধনী গীতাপাঠ করেন মাস্টার প্রাণেশ দে। শ্রী দুলাল কান্তি দে’র তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অভি দে এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাধন চন্দ্র দে, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী, উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব দত্ত এবং অর্থ সম্পাদক জয় ভট্টাচার্য্য। এসময় উত্তম দে বাপ্পি, সুমি দে, সানি দে, জয় চৌধুরী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদিন রাতে শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস কীর্তন পরিবেশনায় ছিলেন বিশিষ্ট অধিবাস কীর্তনীয়া শ্রী সুধামা দাশ সুজন ও তার দল।
২৩শে জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ব্রহ্মমুহুর্ত থেকে আহোরাত্রব্যাপী চলে মহানাম সংকীর্তন। রাতে কৃষ্ণলীলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে এবং রাতে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে বসে গ্রামীণ লোকজ মেলা। মেলায় খাবারসহ বিভিন্ন রকমের পণ্যের পরসা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।
তিনদিনব্যাপী নানান মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান শুক্রবার তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি ও নগর কীর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।