আশীষ দাশ গুপ্ত হবিগঞ্জ লাখাই প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার লাখাইয়ে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা অমাবস্যা তিথিতে শ্যামা পুজা বা শ্মশানকালী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থবিধি মেনে এবার গতকাল সোমবার ১৪ ডিসেম্বর লাখাই উপজেলার হাওরাঞ্চলে উপজেলার বৃহত্তর এ পুজা কৃষ্ণপুর শ্মশানে শ্মশানকালী এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো ভক্তের আগমনে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে এ পুজা হয়ে থাকে
হিন্দু পূরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও শ্মশানের মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে পুজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি শ্মশান কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।