(উজ্জল মহারাজ) ভারতীয় জ্যোতিষ জানায় শনি নয়, আরও দুই গ্রহ রয়েছে, যারা দৃষ্টি দিলে আরও ভয়ানক বিপদ ঘটে যেতে পারে।
দুর্গ্রহ বা কুগ্রহ বললেই আমাদের সামনে শনির ছবি ভেসে ওঠে। সনাতন ভারতের অসংখ্য কিংবদন্তি এবং এমনকী, মহাকাব্যগুলিতেও শনির প্রভাবে জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার কাহিনি জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু ভারতীয় জ্যোতিষ জানায় শনি নয়, আরও দুই গ্রহ রয়েছে, যারা দৃষ্টি দিলে আরও ভয়ানক বিপদ ঘটে যেতে পারে।
বৈদিক জ্যোতিষ মতে, রাহু ও কেতু এমনই প্রভাবসম্পন্ন গ্রহ যে, এরা কারোর পিছনে লাগলে তাঁর জীবন ছারখার হতে বাধ্য। নবগ্রহ মণ্ডলীর শেষ দুই গ্রহ রাহু এবং কেতু। শনিগ্রহকে জ্যোতিষ প্রবল গুরুত্ব দেয়। শনির দশা, বিশেষ করে সাড়েসাতি দশায় মানুষের কী প্রকার বিপন্নতা তৈরি হতে পারে, তা অনেকেরই জানা। কিন্তু নবগ্রহের অষ্টম ও নবম গ্রহ দু’টি সম্পর্কে জ্যোতিষ শাস্ত্র জানায় যে, এরা একত্রে যদি কারোর কুণ্ডলীতে অবস্থান করতে থাকে, তবে তাঁর জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্যে
রাহু ও কেতুর দশায় দুর্ভাগ্য অবশ্যম্ভাবী। এমনকী রাহু ও কেতুর যুগ্ম অবস্থানে কালসর্পদোষও ঘটতে পারে। তার উপরে যদি রাহু চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে অবধারিত ভাবে মানসিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে জানায় জ্যোতিষ শাস্ত্র।তবে জ্যোতিষ মতে, কেতুর প্রভাবে অনেক ক্ষেত্রে উপকারও সাধিত হয়। কেতুকে মোক্ষ, সন্ন্যাস, আত্মোপলব্ধি ও জ্ঞান লাভের জন্যও দায়ী করা হয়। সেই সঙ্গে কেতু মানুষের মধ্যে অস্থিরতা, অসুস্থতার সৃষ্টি করে বলে জানা যায়। রাহু একটি কর্মিক গ্রহ। কেতুর সঙ্গে তার যোগ ঘটলে কেতুর কুপ্রভাবগুলি প্রকট হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে রাহুর দশা তো রয়েইছে।