হীরন চন্দ্র বর্মন : গাইবান্ধা
বৈষাম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের মন্দির, উপাসনালয়, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘর ভাংচুর অগ্নিসংযোক, লুটপাট ও সনাতনি মা – বোন ভাইদের নির্যাতন হত্যা ও মাতৃভূমি ত্যাগের প্রতিবাদে আজ সোমবার(১২ আগষ্ট) সকাল ১০ ঘটিকায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সনাতন ধর্মাবলম্বীর ছাত্র – জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে গাইবান্ধা পৌরপার্কের শহিদ মিনার চত্বরে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদ যৌথভাবে এই অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এদিকে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালিন সময়ে বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সভাপতি রণজিৎ বকসি সূর্য, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুদেব চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহা, দীপক কুমার পাল, দীপক রায়, সুজন প্রসাদ, বিরতি রঞ্জন সকার, রঞ্জন সাহা, অভিজিৎ দাস, সৌমিক কুমার বকসী প্রমুখ।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার ঘটনাগুলো সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিটি গঠন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। সনাতন সম্প্রদায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা, হিন্দু মা-বোনদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এসব ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনা এবং সামগ্রিকভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।