মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিবেকানন্দ স্টাডি এন্ড ফিলানথ্রপিক সেন্টার অব নিউইয়র্ক’র উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ আরব -আফ্রিকা সৎসঙ্গের উদ্যোগ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বনভোজন মহোৎসব ২০২৫ উদযাপন ইডেন কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার জমকালো আয়োজনে বন্ধুত্বের ‘মিলনমেলা’ গ্রুপের ২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন রাঙামাটি তবলছড়ি শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির পরিদর্শনে নেপালের রাষ্ট্রদূত কাপ্তাই উপজেলায় শ্রীমদ্ভাগবত সংঘের ৯তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কমিটি গঠন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মকর সংক্রান্তির আরেকটি লোকউৎসব টুসু পুজা রাঙামাটিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানালেন ডাঃ সুমিত রায় চৌধুরী দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান

সনাতনীদের ৮ দফা দাবিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন মৌলভীবাজার সনাতনী সমাজ এর নেতৃবৃন্দ।

Spread the love

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি-
শনিবার ৫ই অক্টোবর সকাল ১১ঘঠিকায় মৌলভীবাজার সনাতনী সমাজ এর সমন্বয়করা ডিসি মহোদয় এর বাসভবনে গিয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন,
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন।
গত ১১ই আগস্ট ২০২৪, আমরা মৌলভীবাজার সনাতনী সমাজ, ৫ই আগস্ট ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া হামলা, লুটপাট ও আক্রমণের প্রতিবাদে একটি বৃহৎ জনসমাবেশ করে। তখন আমরা আমাদের প্রাণের ৮ দফা দাবির স্মারকলিপি তৎকালীন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে নিবেদন করা হয়। সে সময় আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সরকার কর্তৃক কোনো পদক্ষেপ দৃষ্টিগোচর হয়নি। এই কারণে, দেশের সংখ্যালঘু সমাজ সরকারের উপর হতাশ ও বীতশ্রদ্ধ হয়েছে। তাই, আমরা পুনরায় সরকারকে আমাদের প্রাণের ৮ দফা দাবি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছি। আমরা, দেশের সাধারণ সংখ্যালঘু জনগণ, অতিদ্রুত আমাদের প্রাণের ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
৮ দফা দাবিগুলো হলো:-
১। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। অনতিবিলম্বে “সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।
৩। ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে।
৪। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে “হিন্দু ফাউন্ডেশন’ এ উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।
৫। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন” যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬। সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করতে হবে।
৭। “সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে।
৮। শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,মৌলভীবাজার সনাতনী সমাজ এর প্রধান সমন্বয়ক শ্রী স্বরূপান্দ রায় স্বরূপ ও সমন্বয়ক শ্রী বিজয় সরকার, দিগন্ত ভট্রাচার্য্য,সৌনক কৃষ্ণ দাস,কৃতার্থ চক্রবর্তী,প্রাণকৃষ্ণ দেব, অমিয় দেব,শান্ত পাল,দিপলু পাল সহ অনেকেই



আমাদের ফেসবুক পেইজ