বাবলু তন্তবায় দীপু,
চুনারুঘাট প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এক প্রকার লোকউৎসব হচ্ছে টুসু পুজা। এই উৎসবটি অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিন থেকে শুরু হয় আর শেষ হয় পৌষ সংক্রান্তি অথবা মকর সংক্রান্তির পূণ্য লগ্নে। । টুসু একজন লৌকিক দেবী এবং তাঁকে কুমারী বালিকা হিসেবে কল্পনা করা হয়। কুমারী মেয়েরা টুসুপূজার প্রধান ব্রতী ও উদ্যোগী। মাটির মূর্তি বা রঙিন কাগজের চৌদ্দল দিয়ে দেবীর প্রতীকরূপে স্থাপন করা হয়। উক্ত টুসু পুজা অনুষ্ঠান উপলক্ষে তরুণী মেয়েরা টুসু সঙ্গীত পরিবেশন করেন উৎসবের বিশেষ অঙ্গ ও মূল আকর্ষণের মাধ্যমে সেই উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় মানুষজন ভীষণভাবে আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। এতে উৎসবটি কৃষিভিত্তিক একটি উৎসব হিসেবেই অনেকেই মনে করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবং সিলেটের বিভিন্ন চা বাগান অঞ্চলে টুসু পুজা অনুষ্ঠিত হয়। এটি সনাতন সম্প্রদায়ের তরুণী মেয়েরা টুসু মায়ে সংগীতের মাধ্যমে পৌষ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং পৌষ সংক্রান্তির সময় প্রতিটি ঘরে ঘরে টুসু দেবীর নগর পরিক্রমনা করা হয়। এটি মুলত একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি হয়ে থাকে। এতে তরুণী মেয়েরা সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীর সবাই রুটি পিঠার মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ উৎসাহ উদ্দীপনায় মুখরিত হয়ে উঠে। এতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের গিলানী চা বাগানে মৃত প্রাসদ শোনারীর ছেলে পলাশ শোনারীর বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে টুসু পুজার আয়োজন করা হয়। এতে অত্র চা বাগানের তরুণীরা টুসু পুজায় অংশ নেই। তরুণী মেয়েরা এইচটিবাংলা চ্যানেল কে জানাই যে তারা লক্ষি দেবীর প্রতিমাকে টুসু দেবীর রূপে আবির্ভূত করে। তাদের অনুষ্ঠানের তরুণী মেয়েরা আনন্দ উৎসবে মুখরিত হয়ে থাকে। এতে কয়েকটি তরুনী মেয়ে পল্লবী শোনারী ও সুবর্ণা বুনার্জী বলেন, টুসু পুজা একটি চা বাগান অঞ্চলের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যের অনুষ্ঠান। যা অত্র টুসু দেবীকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা পুজা আয়োজন করে থাকি।