সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উত্তর গুজরায় শ্রীশ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ ও জ্বালামুখী মন্দিরে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের রাউজানে গশ্চি দাশ পাড়া সার্বজনীন শ্রীশ্রী গীতা মন্দিরের বিশ্বশান্তি গীতা যজ্ঞের ৩০তম বর্ষপূতি উদযাপিত হয়েছে মৌলভীবাজার রাম নবমী তে এবার হতে যাচ্ছে রাবণ বধ ও জীবন্ত পিতা মাতার পুজা আহলা দূর্গাবাড়ি ও লোকনাথ আশ্রমে অষ্টপ্রহরব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন উৎসব শুরু বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৩৯৫ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ রাঙামাটির মন্ডপে মন্ডপে চলছে বিদ্যাদেবীর আরাধনা সিইপিজেড কৃষ্ণ মন্দিরের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব আগামীকাল রাউজানে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মতিথি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন মৌলভীবাজারে শত কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে ২ মন্দিরে প্রতিমা-পূজার সরঞ্জাম সহ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

স্বামীজী এক রেলস্টেশনে!!

Spread the love
 
 
উজ্জ্বল রায়।।
 
স্বামীজী রাজস্থানের এক রেলস্টেশনে আছেন। সারাদিন তাঁর কাছে লোক আসছে। নানা প্রশ্ন তাদের। স্বামীজী সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। লোক আসার শেষ নেই, স্বামীজীরও ধর্মপ্রসঙ্গের বিরাম নেই। এত লোক আসছে কেউ কিন্তু একবারও খোঁজ করছে না স্বামীজীর খাওয়া হয়েছে কিনা। 
 
এই ভাবে পর পর তিনদিন সম্পূর্ণ অনাহারে থেকে স্বামীজী ধর্মপ্রসঙ্গ করে চলেছেন। জল পর্যন্ত খেতে পারেননি। তৃতীয়দিন রাত্রে সবাই চলে যাবার পর একটি গরীব লোক এসে তাঁকে জিঞ্জাসা করল, মহারাজ, আপনি তিনদিন তো অনবরত কথাই বলেছেন, জল পর্যন্ত খাননি। এতে আমার প্রাণে বড় ব্যথা লেগেছে। 
 
স্বামীজীর মনে হল স্বয়ং ভগবানই দীনবেশে এসেছেন। তিনি বললেন :’ তুমি আমায় কিছু খেতে দেবে? ‘
লোকটি জাতিতে চামার, সে বলল : ‘আমার প্রাণ তো তাই চায়, কিন্তু আমার তৈরী রুটি আপনাকে দিব কি করে? আঞ্জা হয় তো আমি আটা ডাল এনে দিই, আপনি ডাল-রুটি বানিয়ে নিন। ‘
 
স্বামীজী বললেন : ‘না, তোমার তৈরী রুটিই আমায় দাও, আমি তা -ই খাব। ‘ লোকটি শুনে ভয় পেল —রাজা যদি জানতে পারে যে সে চামার হয়েও সন্ন্যাসীকে রুটি তৈরী করে দিয়েছে তবে হয়তো তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবুও সাধুসেবার প্রবল আগ্রহে নিজের বিপদ তুচ্ছ করেও স্বামীজীর জন্য রুটি তৈরী করে নিয়ে এল। তার দয়া দেখে স্বামীজীর চোখে জল এল, ভাবলেন :আমাদের দেশের কুঁড়েঘরে এরকম কত মানুষ বাস করে, যারা বাইরে দীন -দরিদ্র -অন্ত্যজ কিন্তু অন্তরে মহান। 
 
এদিকে স্টেশনের কয়েকজন ভদ্রলোকের নজরে পড়ল স্বামীজী চামারের হাত থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছেন। তারা এসে তাঁকে বলল : ‘আপনি যে নীচ ব্যক্তির ছোঁয়া খাবার খেলেন এটা কি ভাল হল। স্বামীজী উত্তর দিলেন : ‘তোমরা তো এতগুলো লোক আমাকে তিনদিন ধরে বকালে, কিন্তু আমি কিছু খেলাম কিনা তার কি খোঁজ নিয়েছিলে? 
অথচ এ ছোট লোক হল, আর নিজেরা ভদ্র বলে বড়াই করছ? ও যে মনুষ্যত্ব দেখিয়েছে, তাতে ও নীচ হল কি করে।



আমাদের ফেসবুক পেইজ