মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে প্রতিমা ভাঙচুর ওসি নাসির উদ্দিন বলছেন তেমন বড় ঘটনা নয়! নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবীতে কিশোরগঞ্জে ঐক্য পরিষদের গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন রাঙামাটিতে ত্রিনয়ন সংঘের উদ্দ্যোগে সর্বজনীন গণেশ পূজা কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সৎ সংঘ যুব ক্লাব হিন্দু পারিবারিক আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শ্রাবন্তীর পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন জাগো হিন্দু পরিষদ কদমতলী ইউনিয়ন শাখা বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত রাউজানে হাজারো ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা কোলাবাজারে সনাতনী উন্নয়ন সংঘ এর উদ্যোগে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত ধামরাই বড় বাজার দুর্গা মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে কেককাটা অনুষ্ঠান ও ভাগবত পাঠ অনুষ্ঠিত

স্বামীজী এক রেলস্টেশনে!!

Spread the love
 
 
উজ্জ্বল রায়।।
 
স্বামীজী রাজস্থানের এক রেলস্টেশনে আছেন। সারাদিন তাঁর কাছে লোক আসছে। নানা প্রশ্ন তাদের। স্বামীজী সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। লোক আসার শেষ নেই, স্বামীজীরও ধর্মপ্রসঙ্গের বিরাম নেই। এত লোক আসছে কেউ কিন্তু একবারও খোঁজ করছে না স্বামীজীর খাওয়া হয়েছে কিনা। 
 
এই ভাবে পর পর তিনদিন সম্পূর্ণ অনাহারে থেকে স্বামীজী ধর্মপ্রসঙ্গ করে চলেছেন। জল পর্যন্ত খেতে পারেননি। তৃতীয়দিন রাত্রে সবাই চলে যাবার পর একটি গরীব লোক এসে তাঁকে জিঞ্জাসা করল, মহারাজ, আপনি তিনদিন তো অনবরত কথাই বলেছেন, জল পর্যন্ত খাননি। এতে আমার প্রাণে বড় ব্যথা লেগেছে। 
 
স্বামীজীর মনে হল স্বয়ং ভগবানই দীনবেশে এসেছেন। তিনি বললেন :’ তুমি আমায় কিছু খেতে দেবে? ‘
লোকটি জাতিতে চামার, সে বলল : ‘আমার প্রাণ তো তাই চায়, কিন্তু আমার তৈরী রুটি আপনাকে দিব কি করে? আঞ্জা হয় তো আমি আটা ডাল এনে দিই, আপনি ডাল-রুটি বানিয়ে নিন। ‘
 
স্বামীজী বললেন : ‘না, তোমার তৈরী রুটিই আমায় দাও, আমি তা -ই খাব। ‘ লোকটি শুনে ভয় পেল —রাজা যদি জানতে পারে যে সে চামার হয়েও সন্ন্যাসীকে রুটি তৈরী করে দিয়েছে তবে হয়তো তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবুও সাধুসেবার প্রবল আগ্রহে নিজের বিপদ তুচ্ছ করেও স্বামীজীর জন্য রুটি তৈরী করে নিয়ে এল। তার দয়া দেখে স্বামীজীর চোখে জল এল, ভাবলেন :আমাদের দেশের কুঁড়েঘরে এরকম কত মানুষ বাস করে, যারা বাইরে দীন -দরিদ্র -অন্ত্যজ কিন্তু অন্তরে মহান। 
 
এদিকে স্টেশনের কয়েকজন ভদ্রলোকের নজরে পড়ল স্বামীজী চামারের হাত থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছেন। তারা এসে তাঁকে বলল : ‘আপনি যে নীচ ব্যক্তির ছোঁয়া খাবার খেলেন এটা কি ভাল হল। স্বামীজী উত্তর দিলেন : ‘তোমরা তো এতগুলো লোক আমাকে তিনদিন ধরে বকালে, কিন্তু আমি কিছু খেলাম কিনা তার কি খোঁজ নিয়েছিলে? 
অথচ এ ছোট লোক হল, আর নিজেরা ভদ্র বলে বড়াই করছ? ও যে মনুষ্যত্ব দেখিয়েছে, তাতে ও নীচ হল কি করে।



আমাদের ফেসবুক পেইজ