সনাতন ডেস্কঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করে পশ্চিমবঙ্গের এক মাদ্রাসা থেকে দেওয়া ভুয়া প্রশংসাপত্র দেখিয়ে হিন্দু নাম ব্যবহারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাটের সুরাট পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড, মাদ্রাসার সার্টিফিকেট, কাতারের রেসিডেন্সি পারমিট এবং বাংলাদেশের নথি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্যের রাজনীতি।
গতকাল রোববার এ বিষয়ে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। গুজরাটের মন্ত্রীর পোস্টকে উদ্ধৃত করে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটের সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর–পূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পোস্টে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় চলা একটি মাদ্রাসার সাহায্য নিয়ে ওই যুবক ধর্মীয় পরিচয় জাল করেন। মাদ্রাসা থেকে পাওয়া জাল প্রশংসাপত্র ব্যবহার করেই হিন্দু নামে জাল নথিপত্র বানিয়েছিলেন ওই মুসলিম যুবক। মাদ্রাসার সার্টিফিকেটে নদীয়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভির পোস্ট থেকে আরও জানা গেছে, ওই যুবক তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাকদহে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেকে শুভ দাস বলে পরিচয় দিতেন।
গুজরাটের সুরাট পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক আসল নাম মিনার হেমায়েত সরদার। তিনি ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসার পর একাধিক জাল নথিপত্র তৈরি করেন তিনি। নিজের মুসলিম পরিচয় লুকিয়ে তাঁর নাম দেন শুভ দাস।
সে সঙ্গে, বেশ কয়েকটি জাল নথি বানিয়ে সেসব দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট করে সেই জাল পাসপোর্ট দিয়ে ২০২১ কাতার যান তিনি। কাতারে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। চলতি বছরে ফের গুজরাটের সুরাটে ফিরে এসে আসেন এই যুবক। সুরাটে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি।