এ ঘটনায় বুধবার রাতে প্রথম স্ত্রী তাপসী বাদী হয়ে ইমনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় ইমনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠান। তাপসী ঐচারমাঠ গ্রামের মৃত অটল বাড়ৈর মেয়ে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ৮ বছর আগে আগৈলঝাড়ার ঐচারমাঠ গ্রামের তাপসী বাড়ৈর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইউসুফের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ইউসুফ আলী নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে ইমন ঘোষ নামে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাপসীকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকে ইমন স্ত্রী তাপসীর বাবার বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। তাদের অপূর্ব নামে চার বছরের ছেলে রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর ইমন উধাও হয়ে যায়।
৪ বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাপসীর অনুমতি ছাড়া ইউসুফ আবার নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে ইমন ঘোষ নামে আগৈলঝাড়া উপজেলার একই ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের অতুল বেপারির মেয়ে বৃষ্টি বেপারির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এবং তাকে বিয়ে করে।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের সুপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস শুরু করে ইমন ওরফে ইউসুফ। দীর্ঘদিন পর বুধবার সকালে তাপসী বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে অবহিত করে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই এসআই শফিউল ইসলাম গিয়ে ইউসুফকে গ্রেফতার করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।