বিজয় সরকার, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারে শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর মন্দির ও সেন শিবানন্দ ধাম আদপাশা গ্রামে প্রায় ৩০৪ বছরের স্মৃতি ধরে আসছে।মৌলভীবাজার এর সদর উপজেলার ৯নং আমতৈল ইউনিয়নের আধপাশা প্রেমতলা গ্রামে এখন দুরদুরান্তের ধর্ম প্রান সনাতন ধর্মাবলীরা হৃদয়ের শ্রদ্ধা ভক্তি উজার করে আরাধনা করতে আসেন। মৌলভীবাজারের ইতিহাস থেকে জানা যায়, সেন শিবানন্দ পশ্চিম বঙ্গের বধর্মান জেলার কুলিন গ্রামের বাসিন্ধা। তার ৩য় পুরুষ পরমান্দ সেন প্রায় ৩ শত বৎসর পূর্বে বাংলায় চলে আসেন। বসতি স্থাপন করেন শ্রীহট্র জেলায়। তিনি ছিলেন খ্যাত নামা এক জন ভালো আয়ূরবেদীয় চিকিৎসক। তাদের আয়ূরবেদীয় চিকিৎসার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বংশপরস্পরায় তাদের এই পেশা চলতে থাকে। ১৭৩৫ খ্রি: সেন শিবানন্দ এর ৬ষ্ট বংশধর রমাকান্ত সেনের অব্যর্থ চিকিৎসায় সন্তুুষ্ট হয়ে সিলেটের নবাব শমসের খাঁ বাহাদুর রাধা মাধবের সেবার জন্য ভূমি দান করেন। আর এই ভূমিতে প্রতিষ্ট্রিত হয় শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর মন্দির ও সেন শিবানন্দ ধাম। ছোট কুটিরের মাধ্যমে ধামের যাত্রা শুরু হয়। ক্রমে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি বর্গের সাহায্যে সহযোগীতায় ধামে সুদৃশ্য মন্দির তৈরী হয়েছে।
তবে মন্দির পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, শ্রী সুদীপ দেব(কিষন) সনাতনী টিভি কে বলেন
দুরদুরান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দ শ্রী রাধা মাধব জিউর মন্দির ও সেন শিবানন্দ ধামে আসতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ধামের রাস্তাটি ভাংঙ্গা থাকায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। তাই এই রাস্তাটি অতিসত্বর মেরামত করা প্রয়োজন। সরকারী অনুদানের দাবী শ্রী রাধা মাধব জিউর মন্দির ও সেন শিবানন্দ ধামের পরিচলনা কমিটির। এই ধামের বর্তমান সভাপতির দায়ীত্বে আছেন সেন শিবানন্দের ১৪তম পুরুষ সাম্য সেন, সাধারন সম্পাদক ননী গোপাল দেব নাথ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শ্রী বিপুল চন্দ্র দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ লাল বৈদ্য।এবং পরিচালনা কমিটির পাশাপাশি রয়েছে আরেক টি যুব সংগঠন, যার নাম দেওয়া হয়েছে, সেন শিবানন্দ সংঘ,এই সেন শিবানন্দ সংঘের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতি বৎসর সংঘের উদ্যেগে অষ্টপ্রহর হরিনাম মহোৎসব পালিত হচ্ছে,