 
						
নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সপ্তশতী শ্রীশ্রী চণ্ডীপূজা ও চণ্ডীযজ্ঞ। শুক্রবার (৯ মে) দিনব্যাপী চলা এই পূজায় অংশ নেন কয়েক শতাধিক ভক্ত। আয়োজনটি স্থানীয়ভাবে ধর্মীয় ঐতিহ্যের ধারাকে আরো বেগবান করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এই পূজার আয়োজন করেন মাটিরাঙা উপজেলার বাসিন্দা সুমন কান্তি দে। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগেই বিগত দুই বছর ধরে নিয়মিতভাবে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এই পূজাকে আরও বিস্তৃত আকারে চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সকাল থেকে পূজার সূচনা হয় মঙ্গলঘট স্থাপনের মাধ্যমে, পরে একে একে অনুষ্ঠিত হয় শিব, বিষ্ণু ও চণ্ডী দেবীর পূজা। দিনভর চলে চণ্ডীপাঠ, বিশেষ পূজা, হোমযজ্ঞ এবং শেষে প্রসাদ বিতরণ ও অন্নভোগ। আশেপাশের এলাকা থেকে শতাধিক ভক্ত উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এ ধর্মীয় উৎসবে।

সুমন কান্তি দে বলেন, “এই পূজার মাধ্যমে আমি শুধু ব্যক্তিগত সংকল্প পূরণ করছি না, বরং আশেপাশের ভক্তদের মধ্যে একাত্মতা তৈরি হচ্ছে। চণ্ডীদেবীর প্রতি আমাদের বিশ্বাস অত্যন্ত গভীর, আর এই পূজা আমাদের মনোবল ও সমাজে ইতিবাচক শক্তি ফিরিয়ে আনে।”
চট্টগ্রাম থেকে আসা ভক্ত সাজন ভৌমিক বলেন, “আমি গত তিন বছর ধরেই এই পূজায় অংশ নিচ্ছি। চণ্ডীপাঠে মন ও আত্মা শান্ত হয়। বিশেষ করে হোমযজ্ঞের সময় একটা ভিন্নরকমের প্রশান্তি অনুভব করি।”

আরেক ভক্ত ঝোটন নন্দী বলেন,
“আমার বিশ্বাস, চণ্ডীপূজার মাধ্যমে জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর হয়। প্রতি বছর এই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।”
পূজার শেষে সকল ভক্তের মাঝে প্রসাদ ও অন্নভোগ বিতরণ করা হয়। নানা বয়সী নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে এই পূজা ছিল এক অনন্য ধর্মীয় মিলনমেলা।
স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের আয়োজন শুধু ধর্মচর্চা নয়, বরং সমাজে শান্তি, ঐক্য ও সংস্কৃতির চর্চাকে আরও সুসংহত করে তোলে।