চন্দ্র দর্শন নিষিদ্ধের কারণ (গণেশ চতুর্থী)
শ্রী প্রান্ত কুমার বিশ্বাস
আজ শ্রীশ্রী গণেশ চতুর্থী, ভগবান গণেশের পূজার শুভ তিথি। এই দিনে সকলেরই ভক্তিভরে পূজা করা উচিত। তবে একটি বিশেষ নির্দেশ রয়েছে—এই দিনে চন্দ্র দর্শন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কেন নিষিদ্ধ?
একটি পুরাণকথা অনুসারে, ভগবান মহাদেবের পুত্র এবং দেবসেনার অধিপতি মঙ্গলদেব তাঁর পিতার স্বীকৃতির জন্য কঠোর তপস্যা করেন। সেই তপস্যার প্রভাবে চন্দ্রদেব ও গণেশজী প্রভাবিত হন। একদিন চন্দ্রদেব, শ্রীগণেশের বৃহৎ পেট দেখে উপহাস করেন এবং ব্যঙ্গাত্মক আচরণ করেন। এতে গণেশজী ব্যথিত হয়ে রুষ্ট হন এবং অভিশাপ দেন—“যে ব্যক্তি আমার পূজার দিনে চন্দ্র দর্শন করবে, সে কলঙ্কিত হবে।”
এই অভিশাপের ফলে দেবতারা চন্দ্র দর্শন থেকে বিরত থাকেন এবং চন্দ্রদেব কলঙ্কগ্রস্ত হন। পরে যখন মঙ্গলের প্রভাব কমে আসে, তখন চন্দ্রদেব তাঁর পত্নী রোহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমা চাইতে আসেন। তখন শ্রীগণেশ বলেন—“অভিশাপ আমি ফিরিয়ে নিতে পারি না, তবে এর নিয়ম কিছুটা পরিবর্তন করতে পারি। বছরে একদিন, অর্থাৎ গণেশ চতুর্থীর দিনে, কেউ চন্দ্র দর্শন করবে না। এই নিষেধ মানলে কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।”
বিশ্বাস আছে, যিনি এই দিনে ভুল করে চন্দ্র দর্শন করবেন, তাঁর জীবনে একদিন না একদিন চুরির মিথ্যা অপবাদ আসতে পারে। তাই এই বিশেষ দিনে ভক্তদের জন্য চন্দ্র দর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে ধরা হয়।
তথ্যসূত্র / উৎসঃ ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ,গণেশ পুরাণ,স্কন্দ পুরাণ (ভবিষ্য পর্ব) গণেশ চতুর্থী ব্রতকথা।