নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ২৫ আগস্ট, পরমহংস মহাযোগী স্বামী সুরেশ্বরানন্দ পুরী মহারাজের আবির্ভাব দিবস। ১৯৩১ সালের এদিনে চট্টগ্রামের দোহাজারীতে শ্রী হরগোবিন্দ দাস ও ধর্মপরায়ণা মাতা সুরতী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এই মহাপুরুষ। শৈশব থেকেই তিনি সত্যবাদিতা, দয়া ও ভক্তিতে অনন্য হয়ে ওঠেন।
তরুণ বয়সে সংসারত্যাগ করে পুরী পরম্পরায় সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি “স্বামী সুরেশ্বরানন্দ পুরী” নামে পরিচিত হন। ব্রহ্মচর্য, অহিংসা, স্বল্পাচার ও সাধনাজীবনের উপর দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবন। দীর্ঘ সাধনা ও সেবার মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন অসংখ্য মানুষের আশ্রয়।
তাঁর প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তপোবন আশ্রম (দোহাজারী, চট্টগ্রাম) সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে সেবা ও সাধনার কার্যক্রম। নাম-যজ্ঞ, আখণ্ড জপ, দুঃস্থদের সহায়তা, অন্নছত্র, শিক্ষাসাহায্য ও সমাজসেবায় এসব আশ্রম বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
মহারাজের বাণী ছিল সরল কিন্তু গভীর—
“ঈশ্বরকে ডাক; ঈশ্বরের কথায় সুখী হও। ঈশ্বরপথে মতি-গতি-রতি রাখ—জীবন সুন্দর হবে।”
২০০২ সালে তিনি দেহত্যাগ করেন। তবে তাঁর শিক্ষা, সেবাধর্ম ও ভক্তিপূর্ণ জীবনদর্শন আজও ভক্তদের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে তপোবন আশ্রমে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে তাঁর আবির্ভাব তিথি।