বগুড়া প্রতিনিধি,এসটিভিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গনকপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু রবিদাসের বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও মারধর করেছে স্থানীয় ইউ পি সদস্য ৷ সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার গনক পাড়া গ্রামের মৃত শিউলাল রবিদাসের ছেলে শ্রী বিমল চন্দ্র রবিদাসের বসত বাড়ী দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং সে সাথে মারধর অগ্নি সংযোগ করে একই এলাকার মোঃ তরিকুল মেম্বার ৷

আরও জানা যায় যে, প্রতিবেশী মৃত সুন্দর রবিদাসের ছেলে শ্রী ফকির রবিদাস ও শ্রী ঝুলন রবিদাসের নিকট হতে ০৬ শতাংশ বসত বাড়ীর জমি কিনে ওই এলাকার মোঃ নুরু ইসলামের ছেলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলাম ৷

ক্রেতা মোঃ তরিকুল ইসলামের কবলা দলিলে যেখানে জমি কিনে সেখানে প্লট না কেটে চালাকি করে পাশের প্লটে কবলা দলিলে ম্যাপ কেটে নেয় ৷ এরই রেশধরে গত বেশকিছু দিন পূর্বে হতে মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলাম নানান ভাবে বিবাদী শ্রী বিমল গং এর সাথে তাল বাহানা করতে থাকে দখল করার জন্য।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মোঃ তরিকুল ইসলাম মেম্বার প্রায় ৬০ জন ভাড়া করা সন্ত্রাসী লোক জনসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে আক্রমন করে শ্রী বিমল রবিদাসের বসত বাড়িতে। তারা আক্রমন করে প্রথমে তাদের সেলুন দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। এরপর বসত বাড়ীতে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে এবং তার গর্ভবতী ছোট ভাইয়ের বউ এর পেটে লাথি মারে বলে দাবি করেন পরিবারটি।

শ্রী বিমল রবিদাসের ছোট ভাই নিখিল রবিদাস এস টিভিকে জানান, মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ঘরের খাট, ড্রেসিং টেবিল, ঘরের বেড়া ভাঙচুর ও ঘরে রক্ষিত বিভিন্ন জিনিস পএ ভাংচুর ও নগদ ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা, দেড় ভরি স্বর্ন লুট করে নিয়ে যায় ৷
তাছাড়া বর্তমানে তাদের ঘরে খাবারের কোন ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই৷ প্রতিটা দিনই মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী হুমকি ধামকি ও দেশ ত্যাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া ঘটনাস্থলে এসে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুষ্কৃতিকারীর কোন স্থান নেই এই দেশে। সারিয়াকান্দি থানার ও সি সাহেব মোঃ আলামিন জানালেন, ঘটনাটি শুনতে পেরে আমি অফিসার পাঠায় এবং এ সংক্রান্ত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷
নারচি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন জানান, তার পরিষদের সদস্য ভাল কাজ করে নাই ৷তিনি ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন ৷জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শ্রী নিরাঞ্জন সিং বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখ জনক। তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন ৷
উপজেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী চন্দন চক্রবর্তী বলেন, আমরা মর্মাহত এবং চিন্তিত।এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি ৷ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী অরুনাংশু সাহা বলেন, আমি তীব্র নিন্দা জানাই এবং যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি দাবি করছি ৷