সনজিত কুমার শীল।
আরব আমিরাত।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২১ শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে প্রবাসী সনাতনীদের সংগঠন ‘প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ’এর উদ্যোগে মহালয়া অনুষ্ঠান শুরু হয়।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে মহালয়ার নানান অনুষ্ঠানের শুরুতে শঙ্খ ধ্বনি এবং উলুর ধ্বনির মাধ্যমে সূচনা পর্ব শুরু হয়। দুর্গা মায়ের আগমনের সেই ধ্বনিতে মেতে উঠেছেন অনুষ্ঠানে আসা হাজারো সনাতনী প্রবাসী। অনুষ্ঠানে ছিল সংগঠনের লোগো উন্মোচন, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি।
প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উত্তম কুমার সরকার।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অদুল কান্তি চৌধুরী, মৃনাল কান্তি ধর, অনিতা চৌধুরী, মেরুনা কামাল ইয়াসমিন, বিপ্লব কুমার দেব।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দে, উপদেষ্টা রঞ্জন মজুমদার, , অসীম কুমার ভট্টাচার্য, প্রদীপ কুমার রায় চৌধুরী, দিনবন্ধু তালুকদার ও রাজু চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, “মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি অপরিহার্য অংশ। পুরাণ মতে, এই দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। দেবী শক্তির আবাহনের মধ্য দিয়েই শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। তাই মহালয়া কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য আবেগ, ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতার এক বিশেষ মুহূর্ত।”
দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন স্বর্ণালী ঘোষ। নৃত্য পরিচালনা করেন মিতা হায়িত ও সঞ্চিতা রায়। সংগীত পরিচালনা করেন শিমুল দেবনাথ। চণ্ডীপাঠ করেন শুভ ব্যানার্জি।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন সুমনা দাশ, স্নিগ্ধা সরকার তিথি, অনামিকা সাহা,মিতা সাহা, পাপড়ি মল্লিক, রুমকি সরকার ওম, অনামিকা সাহা, কলি মজুমদার, বীথি সেন, প্রমীলা সেন, পূজা আইচ, সঙ্গীতা চৌধুরী,দ্বীপ দেবনাথ, শিপন কর্মকার, সঞ্জয় সরকার, রিংকু সরকার ও শিবলু দাশ। যন্ত্রসংগীতে ছিলেন বাবু অজিত রায়, শিমুল দেবনাথ, বাপ্পারাজ নাথ ও ওম সরকার। ম্যাগাজিন ডিজাইনার ছিলেন কোহিনূর ভৌমিক ও শিমুল নাথ।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গোৎসব শুরু হবে। তবে মহালয়া থেকেই মূলত দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি বেজে ওঠে। এ উপলক্ষ্যে ‘প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ’ আজমান প্রদেশে চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা ও বিশেষ পূজার মধ্য দিয়ে মহালয়ার ঘট স্থাপন করেছে। অনুষ্ঠানে আমিরাতে সাতটি প্রদেশ থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও মন্দিরের ভক্তবৃন্দরা মহাপ্রসাদ আস্বাদন করেন।