রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রকাশ্যে হিন্দু যুবক হত্যা ১৩৩ বছরের ঐতিহ্যে রাঙা শারদীয় উৎসব: রাউজানের উত্তর গুজরা সেনবাড়ির দুর্গাপূজা চট্টগ্রামে শারদীয় পূজায় ‘আমাদেরই বসুন্ধরা’ থিমে নজর কাড়ছে এনায়েতপুর ব্রজধাম আরব আমিরাতে শুভ মহালয়া অনুষ্ঠান উদযাপন রাঙামাটিতে রাবিপ্রবি সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের বিদ্যার্থী বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজার আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ও সমাজকল্যাণে মহাশক্তির আহ্বান—প্রদীপ কুমার সাহা হান্ডিয়াল শ্রী শ্রী জগন্নাথধামের সেবাইত হৃদয় চৈতন্য গোস্বামী আর নেই London Correspondent for Sanatan TV দেশের প্রতিটি জেলায় মডেল মন্দির নির্মাণের ঘোষণা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ জীউর মন্দিরের সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা কমিটি গঠন

“আশ্বিনে রাধে-কার্তিকে খায়, ‘আশ্বিন কুমারী’র ব্রত”

Spread the love

অন্তর পাল আকাশ, ডেস্ক রিপোর্ট, সনাতন টিভি।

বারো মাসে তেরো পার্বনের দেশ বাংলাদেশ। আশ্বিন মাসের শেষদিন ও কার্তিক মাসের প্রথমদিন ঘিরে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রচলিত আছে এমন এক পার্বনের, যার নাম জলবিষুব সংক্রান্তি।

মঙ্গলবার (১৮-অক্টোবর) এই পার্বন উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করছেন আশ্বিনী কুমারী ব্রত। এই ব্রত ‘ব্রতের ভাতের পূজা’ নামেও পরিচিত।

সনাতনী ইতিহাস মতে, স্বর্গের চিকিৎসক অশ্বিনী কুমারদ্বয় সূর্যদেব ও সংজ্ঞা’র পুত্র। অভিশাপগ্রস্ত সংজ্ঞা জগজ্জনী পার্বতীর কাছে নিজের দুর্দশা থেকে মুক্তি চাইলে পার্বতী এক মুষ্টি চাল দিয়ে তাকে বলছিলেন-আশ্বিন মাসের শেষ তারিখ পূর্বরাত্রে শেষ দিবসে রেখে এই চাল ভক্তিপূর্বক রন্ধন শেষে মহাদেবের অর্চনা করতে হবে এবং কার্তিক মাসের ১ম দিবসে সেই অন্ন ভক্ষণে মনস্কামনা পূর্ন হবে। সে নিয়মে মেনে রোগ ও অভিশাপমুক্ত হয়েছিলেন দেবী সংজ্ঞা।

অশ্বিনী কুমারদ্বয় হলেন-নাস্যতা ও দস্র। ঋগ্বেদ এবং সংস্কৃত সাহিত্যে ও অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের নাম এসেছে। মহাভারতের আদিপর্বের পৌষ্যপর্বাধ্যায়ে উপমন্যোপাখ্যানে দেব-চিকিৎসক হিসাবে তাদের ভূমিকার কথা জানা যায়।

“আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায়
যেই বর মাগে,সেই বর পায়”।

সনাতন সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই প্রবচন। আশ্বিন সংক্রান্তির রাতে সারারাত জেগে বিশেষ খাবার তৈরি করেন বাড়ির নারীরা।এর মধ্যে অন্যতম গুড়মিশ্রিত নারিকেল।কার্তিকের সকালে সেই নারিকেল ও বাংলা কলা দিয়ে পূজায় নিবেদন করা পান্তা ভাত খাওয়া হয়।

কার্তিক একসময় ছিল অভাবের মাস। সেই মাসের প্রথম দিনের সকালে সন্তানকে ভালোমন্দ খাইয়ে মায়েরা আশা করতেন-” পুরো বছরটা ভালো যাবে, সন্তান থাকবে দুধে ভাতে। “

নবযুগ পঞ্জিকা মতে, মঙ্গলবার পঞ্চমী তিথিতে সন্ধ্যায় অশ্বিনী কুমারদ্বয়ের পূজা শেষে বুধবার (১৯-অক্টোবর) ব্রতের ভাত (পারণা করা হবে) খাওয়া হবে।



আমাদের ফেসবুক পেইজ