সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনার দাকোপে বিএনপি নেতা কর্তৃক সংখ্যালঘু হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হিন্দু কৃষকের কাটা ধান আগুনে পুড়ে ছাই করেছে দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরের মহাপ্রয়াণ বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু যুক্তফ্রন্টের ৫১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা বান্দরবানে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ষষ্ঠ পর্যায়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত ২৫ বছর বয়সে ইতিহাস মৈথিলী ঠাকুরের দাপটপূর্ণ জয় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রকাশ্যে হিন্দু যুবক হত্যা ১৩৩ বছরের ঐতিহ্যে রাঙা শারদীয় উৎসব: রাউজানের উত্তর গুজরা সেনবাড়ির দুর্গাপূজা চট্টগ্রামে শারদীয় পূজায় ‘আমাদেরই বসুন্ধরা’ থিমে নজর কাড়ছে এনায়েতপুর ব্রজধাম আরব আমিরাতে শুভ মহালয়া অনুষ্ঠান উদযাপন

খুলনার দাকোপে বিএনপি নেতা কর্তৃক সংখ্যালঘু হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা

Spread the love

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সনাতন টিভি :

খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর রাতে দাকোপ বিএনপির ৯ নং ওয়ার্ডের সহ–সভাপতি হিসেবে পরিচিত মারুফ গাজীর বিরুদ্ধে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কারণ অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে কথা বলা বা অভিযোগ করা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ভীতি বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ধরনের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলা প্রায় অসম্ভব। অনেকেই বলছেন, শুধু সংখ্যালঘু পরিবারই নয়, এখানে সংখ্যাগুরুদেরও নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। যারা মুখ খোলেন, তাদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা বা পরে সমস্যায় ফেলে দেওয়া নাকি খুবই সাধারণ ঘটনা।

এলাকার কয়েকজন সচেতন নাগরিক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন—
রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এমন আচরণ সমাজকে স্থবির করে দিচ্ছে এবং নির্যাতনের শিকারদের আরও বিপন্ন করে তুলছে। তাদের মতে, ভুক্তভোগী পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে স্থানীয়দের এগিয়ে আসা জরুরি; নীরবতা বজায় থাকলে অন্যায়ের শেকড় আরও গভীর হবে।

এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হলেও এলাকায় যে অস্বাভাবিক নীরবতা দেখা যাচ্ছে—তা আরও উদ্বেগজনক। মানুষ ফিসফিস করে কথা বলছেন, কিন্তু কেউই প্রকাশ্যে সামনে আসছেন না। এই নীরবতাকেই অভিযুক্তদের রক্ষা-কবচ হিসেবে মনে করছেন সচেতন নাগরিকেরা।



আমাদের ফেসবুক পেইজ