আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজনে নগরীর সিরাজুদ্দৌলা রোডের শত বছরের পুরানো বৃন্দাবন আঁখেড়া পূজা মন্ডপে জায়গার ক্রয় বিক্রয় জনিত সমস্যার কারণে উক্ত স্থানে এবারের আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা ও অনিশ্চয়তা।

গত ২২ আগষ্ট (শুক্রবার) নগরীর সিরাজুদ্দৌলা রোড বৃন্দাবন আঁখেড়া পূজা উদযাপন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে উমা শংকর রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মল্লিক জনির সঞ্চালনায় এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, শত বৎসর যাবৎ ঐতিহ্যবাহী বৃন্দাবন আঁখেড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা সহ অন্যান্য পূজানুষ্ঠান আয়োজন করা হতো। এ বছরও আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরিষদ থেকে পূজা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমও চলছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী জায়গা বিক্রির কারণে পূজার পূর্বনির্ধারিত স্থানটিও দখল হয়ে যায়। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ আসেপাশে সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সভায় চসিক মেয়র, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।
এ বিষয়ে বৃন্দাবন আঁখেড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দাশ সনাতন টিভিকে বলেন, “স্থানটি যদিও আমাদের পরিষদের ক্রয়কৃত নয়, তবুও প্রায় শত বছর ধরে এলাকার সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতায় শারদীয় দুর্গাপূজা সহ বিভিন্ন পূজানুষ্ঠান এখানে আয়োজন হতো। অতীতে বিভিন্ন সময় এই এলাকায় জায়গা বেচা বিক্রি হলেও ধর্মীয় ও সামাজিক আয়োজনের এই স্থানটি নিয়ে কেউ কখনো কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি, বরং সকলে উদার সহযোগিতা করেছে। তবে সম্প্রতি কিছু জায়গা বিক্রির পর এবার পূজার স্থানটি নিয়ে আমরা প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হচ্ছি। তারপরও আমরা আশাবাদী, সম্প্রীতিময় সকলের শুভবোধে পূর্বের ন্যায় যথাস্থানে আমরা পূজার আয়োজন করতে পারবো। এ ব্যাপারে সকলের ইতিবাচক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”
সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিভূ ভূষণ চক্রবর্তী, ইমন সেন, শ্যামল ধর, বিপ্লব দাশ, বিরাজ মিত্র, সঞ্জীব সেনগুপ্ত, বিষ্ণু চৌধুরী, সজল হোড়, অজয় চৌধুরী, পরাগ চৌধুরী মুন্না, প্রবীর বিশ্বাস, অনিমেষ পাল রিপন, এপোলো বিশ্বাস, মিথুল চৌধুরী, বাবুল ধর, মিঠুন রায়, প্রাঙ্গণ চক্রবর্তী, পলাম সেন, রিপন দেব, বাপ্পা চৌধুরী, রনি মল্লিক, রাজু দত্ত, অনিন্দ্য চৌধুরী মুন্না, অভি চৌধুরী, প্রতাপ চৌধুরী, সুব্রত ধর, শৈলান সরকার, বিশু মুহুরি, শান্তু বিশ্বাস।